ডিএইচ মামুন:: প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা বিশ্বনাথে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে এখনো জমে উঠেনি পশুর হাট। সময় ঘনিয়ে এলেও এখনো জমে না উঠায় চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বনাথের প্রধান পশুর হাট বিশ্বনাথ পুরান বাজার। এখানে ঈদুল আযহার ১০-১২ দিন আগ থেকে পশু ক্রয়বিক্রয় শুরু হয়ে যায় । এখানে বিশ্বনাথ তথা সিলেটে বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতা বিক্রেতারা আসেন পশু বেচা-কেনা করতে। কিন্তু করোনা ভাইরাসে কারনে এবার বদলে গেছে চিত্র। আগের মত ক্রেতা সাধারণের আনাগোনা নেই । তাই এবারে ঈদে ব্যবসায় কেমন হবে তাই নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। অনেকেই আবার হতাশ হয়ে পড়েছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বনাথের প্রধান পশুর হাট বিশ্বনাথ পুরান বাজার, বৈরাগীবাজার, হাবড়াবাজার, পীরবাজার, পন্নউল্লা বাজার, মুফতির বাজার, লামাকাজী বাজারের একই চিত্র। গরু থাকলেও তেমন ক্রেতা নেই বাজারগুলোতে।
বিশ্বনাথ পুরান বাজারের ব্যবসায়ী মছব্বির আলী জানান, তিনি দুবাই প্রবাসী ছিলেন। দেশে এসে বর্তমানে গরু ক্রয়-বিক্রয় করেন। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে তিনি অনেকগুলো গরু ক্রয় করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশানুরূপ তেমন ক্রেতা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন ঈদ আসলে কিছু ব্যবসা করা যায় কিন্তু এ বছর কি হবে এক আল্লাহ জানেন। তিনি আশা করেন দু’এক দিনের মধ্যে জমে উঠবে বাজার।
বিশ্বনাথ বাজারে কোরবানী পশুর হাট দেখতে আশা বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের নোয়াগাও গ্রামের বাসিন্দা জাহেদ আহমদ বলেন, ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে প্রতিবছরের ন্যায় প্রবাসী ভাইদের কথামতো বাজারে এসেছি গরুর দাম কেমন দেখতে। এখানে এসে দেখতে পেলাম ৫০/৬০ হাজার টাকা দিয়ে মাঝারি গরু ও ৮০/৯০ হাজার টাকা দিয়ে বড় গরু ক্রয় করা যাবে। অন্য বারের মতো আমরা ঈদের আগের দিন গরু ক্রয় করব। তাই একটু আগে এসে বাজারের অবস্থা দেখলাম। তবে এবছর গরু বাজারে কিছুটা লোক সমাগম কম হওয়াতে গরুর দাম বাড়বে না মনে হচ্ছে।